নূরুল হক,বার্তা সম্পাদক: মণিরামপুরে এশটি দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিবেশি দাদা আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীর অভিযোগ, আবদুল জলিল তাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে গিয়ে তার ঘরের মধ্যে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
আর এ ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যার পর উপজেলার ঘিবা গ্রামে। জানাজানি হওয়ার পর এলাকার কতিপয় গ্রাম্য মাতব্বরেরা আব্দুলল জলিলকে ধরে নিয়ে শালিস সভার আয়োজন করে এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু শালিস সভার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে ওই শিক্ষার্থীর মা বাদি হয়ে সোমবার থানায় এসে জলিলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ ইতোমধ্যে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে থানার হেফাজতে রেখেছে। তবে পুলিশ এখনও ওই লম্পট জলিলকে আটক করতে পারেনি।
এলাকাবাসী ও ওই নির্যাতিতার পরিবার জানান, উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের ঘিবা গ্রামের এক মুদি দোকানির ১০বছর বয়সী মেয়ে এশটি দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী শনিবার সন্ধ্যার পর বাড়ির পাশে প্রতিবেশি দু:সস্পর্কের দাদা আব্দুল জলিলের বাড়ির উঠান দিয়ে এক বান্ধবীর বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় উঠান থেকে জলিল তাকে জোরপূর্বক ধরে ঘরের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর চিৎকারে আশপাশের কয়েকজন মহিলারা ছুটে আসলে জলিল পালিয়ে যায়। অবশ্য ঘটনার সময় দাদা আব্দুল জলিলের বাড়িতে কেউ ছিলেননা। বিষয়টি জানাজানির হলে স্থানীয় কয়েকজন গ্রাম্য মাতব্বর মেসার্স তারা ব্রিকসের মালিক জমশেদ আলীর নেতৃত্বে সিদ্দিকুর রহমান, ইব্রাহিম হোসেনসহ অন্যান্যরা এসে রাত ৮টার দিকে লম্পট জলিলকে ধরে নিয়ে গিয়ে শালিস সভার আয়োজন করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাসিসের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শালিসে আবদুল জলিল তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ স্বীকার করে ক্ষমা চান। এক পর্যায়ে মাতব্বরেরা জলিলকে ১লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। এ ঘটনার পর থেকে ওই রাতেই জলিল এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। কিন্তু ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানান, তারা কোন অর্থকড়ি চাননা, তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান। তবে অভিযোগ রয়েছে শালিস সভার কতিপয় মাতব্বরেরা এ ঘটনায় তাদেরকে মুখ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়াও কোন মামলা মকদ্দমা না করার জন্য হুমকিও দিয়েছেন বলে ওই শিক্ষার্থীর পিতা জানিয়েছেন। তবে শালিসী বৈঠকের মাতব্বর তারা ব্রিকসের মালিক জামশেদ আলী ১লক্ষ টাকা জরিমানা আদায়ের সত্যতা অস্বীকার করে জানান, জরিমানার কথা শালিস সভার অনেকেই বলেছিলেন। তবে সেটা বাস্তবায়ন করা হয়নি।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর মা বাদি হয়ে লম্পট আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে জবানবন্দি প্রদানের জন্য পাঠানো হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।